Back Home Hadith & Quran অমুসলিম মনীষীদের দৃষ্টিতে পবিত্র কুরআন কেমন কিতাব
ReadbookBD.Com

অমুসলিম মনীষীদের দৃষ্টিতে পবিত্র কুরআন কেমন কিতাব

মোবাইল দিয়ে ফ্রি তে ইনকাম করুন হাজার হাজার টাকা, বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন

অমুসলিম মনীষীদের দৃষ্টিতে পবিত্র কুরআন : প্রখ্যাত অমুসলিম মনীষীদের দৃষ্টিতে কুরআনের প্রভাববিস্তার ক্ষমতা কী রূপ? উত্তর : ক. প্রখ্যাত খৃষ্টান মনীষী নলডেক বলেন- "গ্রন্থটি (কুরআন) তার বাণীর মাধ্যমে শ্রাতাদের হৃদয় মনে দৃঢ়তার সাথে এত বেশি প্রত্যয় উৎপাদনে সক্ষম হয়েছিল, যার ফলে সব বিচ্ছিন্ন, বহির্মুখী ও পরস্পরবিরোধী সত্তা একটি অখণ্ড সুসংগঠিত সংঘে রূপান্তরিত হয়ে পড়েছিল।” খ. বিশ্ববিখ্যাত জার্মান কবি ও দার্শনিক ভন গুয়েথ বলেন, “যতবারই আমরা এই গ্রন্থের (কুরআনের) দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করি, তা আমাদেরকে আকৃষ্ট, বিস্ময়াপুত এবং পরিশেষে শ্রদ্ধাবনত করে তোলে। বিষয়বস্তু ও উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এর রচনাশৈলী বলিষ্ঠ, উন্নত ও সময় সময় ভীতি উৎপাদনকারী এবং সত্য সত্যই সমুন্নত ও সুসমৃদ্ধ। এভাবেই এই গ্রন্থ যুগে যুগে একটি অতিসম্ভাবনাময় শক্তি হিসাবে প্রভাব বিস্তার করে যাবে।” গ. ও. (লিয়ারী বলেন- “The Quran is powerful enough to comuire the tearts" অর্থাৎ “কুরআন মানুষের অন্তর জয়ে পরম আকর্ষণীয় ও মনোরম মোহনীয় শক্তির অধিকারী।”) ঘ. ড. স্টীন গেস বলেন- “মন্ময় ও সাধারণ সৌন্দর্য তাত্ত্বিক আদর্শের বিচারে এ গ্রন্থের সাহিত্যিক উৎকর্ষ নির্ণয় করা সম্ভব নয়। বরং এর মূল্যায়ন হতে পারে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমসাময়িক ও স্বদেশীয় জন সাধারণের উপর এর প্রভাবের সাহায্যে। এ গ্রন্থ তার শ্রোতার হৃদয়ে এমন নিমগ্ন নিবিড় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল যে, তাদের পরস্পরবিরোধী মানসিকতা ও বৈশিষ্ট্য সুসংবদ্ধ ও সুসংহত হয়ে একটি অনুপম আদর্শ জীবন কাঠামো নির্মিত হয়েছিল। ঙ. জে. মারগোলিয়াথ বলেন- “কুরআন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্মগ্রন্থসমূহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। যদিও পৃথিবীর ইতিহাস পাল্টে দেওয়া ধর্মগ্রন্থসমূহের মধ্যে এটি সর্বকণিষ্ঠ, কিন্তু তা যে বিশাল মানবগোষ্ঠীর উপর আশ্চর্য প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়েছে, তা আর কোন ধর্মগ্রন্থের পক্ষে সম্ভব হয়নি।" চ. (মহাকবি গ্যেটে বলেন- “আমরা যতই এই গ্রন্থের (কুরআনের) নিকটবর্তী হই অর্থাৎ‍ যতই মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করি এটি ততই আমাদেরকে মুগ্ধ এবং আশ্চার্যান্বিত করে এবং পরিশেষে আমাদেরকে সম্মান প্রদর্শন করতে বাধ্য করে। এরূপে এর প্রত্যেক অধ্যয়নকারীর অন্তরে একটা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে ) ছ. তিনি আরো বলেন- “যত বেশি বিরক্তি নিয়েই আমরা এই গ্রন্থের প্রতি দৃষ্টিপাত করি না কেন, সঙ্গে সঙ্গে এই গ্রন্থ সকল বিরক্তির অবসান ঘটায়, পাঠককে শান্ত ও সন্তুষ্ট করে, আকর্ষণ করে এবং পরিশেষে এর প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনে পাঠককে বাধ্য করে। উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ এর স্টাইল, এর ভাষা এত বেশি জোরালো, প্রত্যয়দীপ্ত ও পূর্ণাঙ্গ, যে কোন যুগে ও কালে যে কোন পরিবেশ পরিস্থিতিতে এই গ্রন্থ সঠিক অর্থেই শাশ্বত ও হিসেবে সর্বাধিক প্রভাব বিস্তারে সক্ষম। জীবন্ত গ্রন্থ জ. দি পপুলার ইনসাইক্লোপেডিয়াতে (The Popular Encyclopuedia) বলা হয়েছে, “কুরআনের বিস্ময়কর প্রভাব এত মনোমুগ্ধকর যে, তা ২৩ বছরের মধ্যে আরবের অবস্থা পরিবর্তন করে ফেলেছিল। পৌত্তলিকগণকে একত্ববাদী, কলুষিত অন্তর ও দুশ্চরিত্রদেরকে অপূর্ব ধার্মিক পবিত্র চরিত্রবান, নির্দয় নিষ্ঠুরতাকে পরম দয়াশীল, অসত্য কলহপ্রিয় জানোয়ারের মতো মানুষগুলোকে একতা ও শৃঙ্খলাপ্রিয়, অলস ও সাহসহীনকে ধর্মপ্রিয় বীর পুরুষ করেছিল। বা. (ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী গোমতী মাদ্রাজ থেকে স্থানীয় ভাষায় প্রকাশিত 'কৌমুদ' পত্রিকায় প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে বলেন- “আমি বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ করেছি, কিন্তু কুরআন আমাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে। এর সহজ-সরল প্রাণোচ্ছল বক্তব্য যে কোন মানুষকে মুগ্ধ করবে।"> এ. পাশ্চাত্য মনীষী জীমী বলেন- “কুরআনের বৈশিষ্ট্য এই যে, কুরআন শ্রবণে অন্তরাত্মা ভীত-সন্ত্রস্ত হয় এবং ঈমান ও মাহাত্ম্য বৃদ্ধি পায়।” উ. (ড. অসওয়েল জনশন বলেন- “কুরআনের প্রজ্ঞাপূর্ণ বিধানগুলো এতই কার্যকর ও অর্থকরী যা সর্বকালের জন্য উপযোগী। সর্বযুগের সকল দাবি পূরণ করতেই তা সক্ষম। মুখর জনপথ, শূন্য মরুভূমি, কর্ম কোলাহলপূর্ণ নগরী এবং রাজ্য থেকে রাজ্যান্তর সর্বত্রই এ বাণী সমভাবে ধ্বনি ও প্রতিধ্বনিত হতে দেখা যায়।”) ঠ. ঐতিহাসিক গীবন বলেন- “জীবনের প্রতিটি শাখার কার্যকরী আইন কুরআনে মজুদ আছে।” স্যার ডায়মন্ড বার্স লিখেছেন— “কুরআনের আইন-কানুন রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে পূর্ণকুটিরের অধিবাসী পর্যন্ত সকলের জন্যই সমান উপযোগী এবং এতই যুক্তিযুক্ত যে, তার কোন বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায় না।”) ঢ. সাহিত্যিক টলস্টয় বলেন- “তোমরা আল্লাহর অলৌকিকত্বের সন্ধান করো না, বরং তাঁর প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করো, সত্যের সন্ধান পাবে।” ৭. তিনি আরো বলেন-“যারা সত্যালোকের সন্ধান চায়, তারা যেন কুরআন শিক্ষা পরিপূর্ণভাবে গ্রহণ করে।” এই পবিত্র গ্রন্থ সম্পর্কে আরো অনেক মনীষী বিভিন্ন প্রকার বক্তব্য রেখেছেন।

157609

Comments

2

hadisAli

উপার্জনকারী Time: 7 months ago

Hi

hadisAli

উপার্জনকারী Time: 7 months ago

Hi

স্পনসর